ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে ?

আর্টিকেলের বিষয়সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে, এই প্রশ্নটা প্রায় সবাই করে, বিশেষ করে যারা একদম নতুন। সত্যি কথা বলতে, এর নির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই, কারণ কোর্সের দাম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

যেমন, কোন প্ল্যাটফর্মে কোর্স করা হচ্ছে, কোর্স কতটা ডিটেইলসে যাচ্ছে, কাকে দিয়ে শেখানো হচ্ছে—এসব জিনিস দেখে কোর্সের খরচ ওঠানামা করে। 

এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শেখার খরচ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, যেখানে পেইড এবং ফ্রি কোর্সের তুলনা, বাজেট অনুযায়ী কোর্স বেছে নেয়া, এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য দরকারি তথ্য তুলে ধরা হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কত টাকা খরচ হয়?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে

ফ্রিল্যান্সিং শেখার খরচ নির্ভর করে তোমার শেখার মাধ্যম, প্ল্যাটফর্ম, এবং কোর্সের মানের উপর। যদি ফ্রি কোর্সের কথা বলি, ইউটিউব এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে একদম বিনামূল্যে হাজার হাজার ভিডিও পাওয়া যায়।

এই ভিডিওগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেসিক শেখানো হয়, যা শুরু করার জন্য বেশ ভালো। যদিও ফ্রি কনটেন্টে সব সময় সব ডিটেইলস নাও থাকতে পারে, কিন্তু যারা একদম নতুন, তাদের জন্য এটা অনেক ভালো অপশন।

তবে যারা প্রফেশনাল কোর্স করতে চায়, তাদের জন্য পেইড কোর্সের ব্যাপার আসে। অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন Udemy, Coursera, বা Skillshare-এ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের দাম সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।

এসব কোর্সে ভিডিও, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, এবং প্রজেক্টের মাধ্যমে শেখানো হয়, যা দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক ট্রেনিং সেন্টার যেমন BASIS, Creative IT, CodersTrust-এর মতো প্রতিষ্ঠানও ফ্রিল্যান্সিং শেখার কোর্স অফার করে।

এসব কোর্সের খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, যা ১০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকারও বেশি হতে পারে। এসব ট্রেনিং সেন্টারে হাতে-কলমে শেখানোর সুবিধা পাওয়া যায়, যা অনেকেই পছন্দ করে। তাই খরচ কতটা হবে, তা নির্ভর করবে তুমি কীভাবে এবং কোথা থেকে শিখছো তার উপর।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কোথা থেকে শুরু করা উচিত?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে

যারা একদম নতুন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার শুরুটা করা উচিত ফ্রি রিসোর্স থেকে। ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিনামূল্যে হাজার হাজার টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।

এখান থেকে শুরু করলে সহজেই বেসিক ধারণা পাওয়া যায় এবং বুঝতে পারা যায় কোন ফিল্ডে নিজের আগ্রহ বেশি।

ইউটিউবের ফ্রি কোর্সগুলোতে সাধারণত প্রাথমিক ধারণাগুলোই ভালোভাবে কভার করা হয়।

কেউ গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আগ্রহী হলে এসব বিষয়ে বেশ কিছু ভালো টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। এগুলো দেখে শিখতে শুরু করলে বুঝতে পারা যায়, কীভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়।

যারা আরও ডিটেইলস বা অ্যাডভান্সড লেভেলের শেখা চায়, তাদের জন্য Udemy, Coursera, বা Skillshare-এর মতো পেইড প্ল্যাটফর্ম ভালো অপশন।

এখানে প্রফেশনাল ইনস্ট্রাক্টরদের তৈরি করা কোর্স থাকে, যা স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডের মতো কাজ করে। এছাড়া, বাংলাদেশে BASIS, CodersTrust-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকেও কোর্স করা যায়, যেখানে প্রফেশনাল কোচের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনগুলো?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম আছে, যেগুলো থেকে শেখার সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমেই আসে ইউটিউব।

যেহেতু ইউটিউব একদম ফ্রি এবং সেখানে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে, এটা শেখার জন্য সবার প্রথমে পছন্দের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। ইউটিউবের ভিডিওগুলোতে সহজে বেসিক ধারণা নেয়া যায় এবং ভিডিওর মাধ্যমে শেখার সুবিধাও বেশি থাকে।

যদি পেইড কোর্সের কথা বলা হয়, তাহলে Udemy, Coursera, এবং Skillshare বেশ ভালো অপশন হতে পারে। Udemy-তে প্রায়ই ডিসকাউন্ট চলে, ফলে খুব কম খরচে ভালো কোর্স পাওয়া যায়।

Coursera এবং Skillshare-এ কিছুটা বেশি প্রফেশনাল এবং ডিটেইলস কোর্স পাওয়া যায়, যেগুলো শিখে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশে BASIS, Creative IT, CodersTrust-এর মতো ট্রেনিং সেন্টারগুলো ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বেশ জনপ্রিয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন-পারসন কোর্স করা যায় এবং হাতে-কলমে শেখার সুবিধা পাওয়া যায়।

এসব ট্রেনিং সেন্টারে দেশীয় মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়, যা স্থানীয় বাজারে কাজ খুঁজতে সহায়ক।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কোন স্কিলগুলো প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট স্কিল শেখা দরকার, যেগুলোর উপর ভিত্তি করে তুমি কাজ পাবে।

সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড থাকা স্কিলগুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, এবং কন্টেন্ট রাইটিং খুব জনপ্রিয়।

গ্রাফিক ডিজাইনে যদি আগ্রহ থাকে, তাহলে Adobe Photoshop, Illustrator-এর মতো সফটওয়্যার শেখা লাগবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে যদি যেতে চাও, তাহলে HTML, CSS, JavaScript শেখা দরকার, সাথে কিছু অ্যাডভান্সড টুল যেমন React, Node.js ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও শেখা জরুরি। কন্টেন্ট রাইটিংয়ে ভাল করতে হলে লেখালেখির দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় ভালো দখল থাকা প্রয়োজন।

ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য Adobe Premiere Pro বা Final Cut Pro এর মতো সফটওয়্যার শেখা যায়।

যে স্কিলই শেখো না কেন, তোমার আগ্রহ এবং মার্কেটের চাহিদা মিলিয়ে বেছে নেয়া ভালো। দক্ষতা যত বাড়বে, ততই ভালো আয় করা সম্ভব হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে কী ধরনের কনটেন্ট থাকে?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা তোমার স্কিল ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করবে। সাধারণত, একটি ভালো ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড লেভেলের অনেক বিষয় কভার করা হয়।

এর মধ্যে থাকে প্রাথমিক স্কিল শেখা, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বেসিক টুলস শেখানো। এরপর থাকে মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ করা যায়, প্রফাইল তৈরি করা, বিড করা, ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট শেখানো।

এছাড়া অনেক কোর্সে কুইজ, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্ট, এবং প্রজেক্টও থাকে, যা শেখার গতি বাড়ায়। এসব অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে হাতেকলমে প্র্যাকটিস করা যায়, যা পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

কিছু কোর্সে আবার লাইভ সাপোর্ট সেশন বা কনসালটেশনও থাকে, যেখানে সরাসরি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার সুযোগ থাকে। এই ধরনের কনটেন্ট কোর্সের মানকে আরও উন্নত করে তোলে।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের জন্য কোনটি ভালো—ফ্রি নাকি পেইড?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ফ্রি আর পেইড কোর্স দুটোরই আলাদা সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা আছে। ফ্রি কোর্স যেমন ইউটিউব থেকে পাওয়া যায়, এগুলো একদম নতুনদের জন্য ভালো।

কারণ, ফ্রি কনটেন্ট দিয়ে অনেক কিছু শেখা সম্ভব, বিশেষ করে বেসিক লেভেলের ধারণাগুলো পাওয়া যায় সহজেই। তবে ফ্রি কোর্সে ডিটেইলস সব সময় সঠিকভাবে পাওয়া যায় না, এবং একাধিক সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, যার ফলে কিছু সময়ে কনফিউশন তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে, পেইড কোর্সের ক্ষেত্রে তুমি সম্পূর্ণ গাইডলাইন এবং স্ট্রাকচার্ড কনটেন্ট পাবে। পেইড কোর্সে স্কিল শেখানোর জন্য স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড দেওয়া হয়, এবং প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, এবং কুইজের মাধ্যমে শিখানো হয়, যা তোমার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।

যেমন Udemy, Coursera বা Skillshare-এর কোর্সগুলোতে পেশাদার ট্রেনারদের বানানো ভিডিও লেকচার থাকে, যেখানে প্রতিটি টপিক খুব সহজভাবে এবং ডিটেইলসে ব্যাখ্যা করা হয়। এছাড়া, পেইড কোর্সে প্রায়ই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারে।

তবে, যারা একেবারে নতুন এবং কোনো ইনভেস্টমেন্ট করতে চান না, তাদের জন্য ফ্রি কোর্সগুলোই যথেষ্ট হতে পারে। কিন্তু যদি দীর্ঘমেয়াদে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাও এবং প্রফেশনালি কাজ করতে চাও, তাহলে পেইড কোর্সের দিকেই ঝোঁকা ভালো। পেইড কোর্সে প্রোফেশনাল গ্রেডের স্কিল ডেভেলপ করা সম্ভব, যা ক্লায়েন্টদের কাছে ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কিভাবে বেছে নেব?

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বেছে নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। প্রথমত, তোমার আগ্রহের বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।

তুমি কী ধরনের কাজ করতে চাও—গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, নাকি কন্টেন্ট রাইটিং? এই প্রশ্নের উত্তর দিলে তোমার জন্য সঠিক কোর্স বেছে নেওয়া সহজ হবে।

এরপর, কোর্সের মান যাচাই করার জন্য রিভিউ এবং রেটিং দেখা যেতে পারে। Udemy, Coursera-এর মতো প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার কোর্স আছে, এবং প্রত্যেকটি কোর্সের রিভিউ থাকে।

ইউজারদের ফিডব্যাক দেখে তুমি জানতে পারবে, কোর্সটি কতটা কার্যকর হবে। এর সাথে, কোর্সের কনটেন্ট এবং লেকচারারের অভিজ্ঞতাও বিবেচনায় আনা উচিত। একজন প্রফেশনাল লেকচারারের বানানো কোর্স সাধারণত বেশি কার্যকর হয়।

অবশ্যই বাজেটও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। Udemy-তে প্রায়ই বড় ডিসকাউন্ট চলে, যেখানে ১৫,০০০ টাকার কোর্স ৫০০-১০০০ টাকায় পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, Coursera এবং Skillshare-এ সাবস্ক্রিপশন মডেলে কিছুটা বেশি খরচ হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশের কিছু ট্রেনিং সেন্টারও সাশ্রয়ী মূল্যে কোর্স অফার করে, যেখানে লাইভ ট্রেনিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কত সময় লাগে?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এটা নির্ভর করে তোমার শেখার গতি, সময় ব্যয় এবং শেখা স্কিলের উপর। সাধারণত, যদি তুমি কোনো নির্দিষ্ট স্কিল শেখার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় দাও, তাহলে এক-দুই মাসের মধ্যে বেসিক শেখা সম্ভব।

তবে স্কিল ডেভেলপমেন্টে সময় দিতে হয়, এবং এটাও নির্ভর করে স্কিলের জটিলতার উপর। যেমন, কন্টেন্ট রাইটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো কিছু স্কিল তুলনামূলকভাবে কম সময়ে শেখা সম্ভব।

অন্যদিকে, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কিংবা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য একটু বেশি সময় দরকার হতে পারে, কারণ এসব স্কিলে টেকনিক্যাল দিকগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হয়।

এছাড়াও, শেখার পর হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটপ্লেসে প্রথম কিছু কাজ পেতে হলে ভালো পোর্টফোলিও দরকার হয়, এবং তা তৈরি করতে সময় লাগে।

সাধারণত, ছয় মাস থেকে এক বছর সময় নিলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়। আর কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে দক্ষতাও বাড়তে থাকে, এবং কাজ করার গতিও ত্বরান্বিত হয়।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর কাজ কোথায় পাওয়া যাবে?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর কাজের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে নতুনদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। Upwork, Fiverr, Freelancer.com-এর মতো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে নতুনদের জন্য কাজের অনেক অপশন থাকে। প্রথমদিকে ছোট প্রজেক্ট বা টাস্ক দিয়ে শুরু করতে হয়।

ফাইভার-এর মতো প্ল্যাটফর্মে “গিগ” তৈরি করা যায়, যেখানে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসের জন্য কন্ট্রাক্ট করে।

তাছাড়া, Upwork বা Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিড করতে হয়। প্রফাইল তৈরি করে, আগের কাজের উদাহরণ হিসেবে পোর্টফোলিও যোগ করলে ক্লায়েন্টদের কাছে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

শুরুতে কমপ্লেক্স প্রজেক্টে না গিয়ে ছোট কাজ দিয়ে শুরু করা ভালো, এতে করে রেটিং এবং রিভিউ সংগ্রহ করা যায়।

এছাড়া, LinkedIn, Facebook গ্রুপগুলোতেও অনেক ফ্রিল্যান্স কাজের অফার পাওয়া যায়। সেখানে অনেক ক্লায়েন্ট তাদের কাজের বিজ্ঞাপন দেয় এবং যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে।

স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলোতে পোস্ট করা কাজের সুযোগগুলো অনুসরণ করলে সহজে কাজ পেতে সাহায্য করে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর কীভাবে আয় শুরু করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর আয় শুরু করতে হলে প্রথমেই একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করা জরুরি।

Upwork, Fiverr, Freelancer-এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল বানাতে হবে, যেখানে তোমার স্কিল এবং অভিজ্ঞতার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে যাতে আগের কাজের নমুনা বা ডেমো প্রজেক্ট দেখানো যায়।

কাজ পাওয়ার জন্য শুরুতে ছোট ছোট প্রজেক্ট বা টাস্ক দিয়ে শুরু করা ভালো। কারণ, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের বড় প্রজেক্ট পেতে কিছুটা সময় লাগে।

ছোট প্রজেক্টগুলোতে কাজ করলে রেটিং এবং রিভিউ সংগ্রহ করা যায়, যা পরবর্তীতে বড় প্রজেক্ট পেতে সাহায্য করে। প্রথমদিকে হয়তো আয় কম হবে, তবে সময়ের সাথে সাথে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়বে, এবং বড় প্রজেক্টের জন্য ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অফার আসবে।

এছাড়া, ভালো যোগাযোগ দক্ষতা (communication skills) খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং তাদের চাহিদা বুঝে কাজ করলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করার সম্ভাবনা আরও বাড়ে।

উপসংহার

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কত টাকা লাগবে, সেটা মূলত তোমার শেখার ধরন এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। যদি ফ্রি কোর্সে শুরু করতে চাও, ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে বিনামূল্যে শিখতে পারবে।

তবে পেইড কোর্সে আরও ডিটেইল এবং প্রফেশনাল গাইডলাইন পাবে, যার জন্য ৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিজের দক্ষতা বাড়ানো এবং নিয়মিত চর্চা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের অন্যান্য আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ করছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *