মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার ২০২৪

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

আর্টিকেলের বিষয়সমূহ

আপনি কি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর জন্য সেরা সফটওয়্যার খুঁজছেন? বর্তমানে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য অসংখ্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপ পাওয়া যায়, যা সহজে এবং দ্রুত ভিডিও এডিটিং করার সুযোগ করে দেয়। চাইলেই এখন মোবাইলের মাধ্যমে আপনি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে পারেন, তা সে ইউটিউব কনটেন্ট হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ছোট ভিডিও। 

ভিডিও এডিটিং এখন আর শুধু কম্পিউটারে সীমাবদ্ধ নয়, মোবাইলেই সব কাজ করা যায়। তবে কোন অ্যাপ আপনার জন্য উপযুক্ত? এই আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়টিকে ক্লিয়ার করব

এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ৬টি মোবাইল এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করব।  এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। 

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

খানে ৬টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো আপনি আপনার মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন।

১. Kinemaster

Kinemaster ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হিসেবে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে কারণ এটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং প্রোফেশনাল লেভেলের এডিটিংয়ের জন্য অনেক ফিচার সমৃদ্ধ। বর্তমানে মোবাইলে যারা ভিডিও এডিটিং করতে চায়, তাদের জন্য এটি অন্যতম সেরা পছন্দ।

Kinemaster-এর মূল আকর্ষণ হলো এর লেয়ার ভিত্তিক এডিটিং সিস্টেম। সহজভাবে বললে, আপনি এখানে ভিডিও, অডিও, টেক্সট, ইমেজ এবং অন্যান্য মিডিয়া ফাইল আলাদা আলাদা লেয়ারে অ্যাড করতে পারবেন। এটি অনেকটা প্রফেশনাল সফটওয়্যার, যেমন Adobe Premiere Pro-এর মতো কাজ করে। আপনি ভিডিওতে একাধিক লেয়ার ব্যবহার করে কাস্টমাইজড এডিট করতে পারবেন।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • মাল্টি-লেয়ার ভিডিও এডিটিং: ভিডিওর পাশাপাশি অডিও, টেক্সট এবং স্টিকার যোগ করা যায়, যা প্রোফেশনাল ভিডিওতে দরকার হয়।
  • ক্রোমা কি: গ্রিন স্ক্রিনের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তনের কাজটি খুব সহজে করা যায়। এটি প্রফেশনাল ভিডিও মেকিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
  • লাইভ প্রিভিউ: ভিডিও এডিট করার সময় আপনার এডিটিং-এর ইফেক্ট এবং পরিবর্তনগুলি সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পারবেন, যা দ্রুত এডিটিংয়ের জন্য খুব সুবিধাজনক।
  • স্পেশাল ইফেক্ট: এতে নানা ধরনের স্পেশাল ইফেক্ট এবং অ্যানিমেশন অ্যাড করা যায়, যা ভিডিওকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

তবে, Kinemaster-এর ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক। আপনি যদি ওয়াটারমার্ক ছাড়া ভিডিও এক্সপোর্ট করতে চান, তাহলে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এছাড়াও, ফ্রি ভার্সনে কিছু প্রিমিয়াম ট্রানজিশন এবং এফেক্ট ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবুও, Kinemaster-এর ফ্রি ভার্সনটি সাধারণ ইউজারদের জন্য যথেষ্ট ভালো, বিশেষ করে যারা ভিডিও এডিটিং-এ নতুন।

Kinemaster প্রফেশনাল ইউজারদের জন্য যেমন কার্যকর, তেমনি নতুনদের জন্যও সহজভাবে কাজ করা যায়। তাই, যারা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং শিখতে চায়, তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী একটি টুল।

২. InShot

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

InShot অ্যাপটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বেশ জনপ্রিয়, কারণ এটি ব্যবহার করে সহজে এবং দ্রুত ভিডিও এডিট করা যায়। যারা ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের জন্য ভিডিও তৈরি করে, তাদের জন্য এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর।

InShot-এর ইন্টারফেস অনেক সহজ এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি, তাই নতুনরাও এটি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি ভিডিও কাট, ট্রিম এবং স্প্লিট করতে পারবেন, যা খুব দ্রুত কাজের জন্য প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করতে পারবেন, বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার এবং এফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • ভিডিও এবং ছবি এডিটিং: শুধু ভিডিও নয়, আপনি এতে ছবি এডিট করেও ভিডিও বানাতে পারবেন, যা বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য দরকার হয়।
  • রেজোলিউশন কাস্টমাইজেশন: ভিডিওর রেজোলিউশন আপনি নিজের মতো করে ঠিক করতে পারবেন। এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী রেজোলিউশন পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়।
  • ফিল্টার এবং স্টিকার: InShot-এ বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার এবং স্টিকার অ্যাড করার সুবিধা রয়েছে, যা ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।

InShot-এর ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেমন ওয়াটারমার্ক এবং সীমিত ফিল্টার। কিন্তু এর প্রিমিয়াম ভার্সনে এই সীমাবদ্ধতাগুলো দূর হয়ে যায়, এবং আপনি আরো ফিচার আনলক করতে পারবেন। এটি যারা কুইক এডিটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য দ্রুত ভিডিও তৈরি করতে চায়, তাদের জন্য পারফেক্ট চয়েস।

৩. VivaVideo

VivaVideo হলো মোবাইলে এডিটিং করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ। এটি নতুনদের জন্য খুবই উপযোগী, কারণ এতে অনেক প্রি-বিল্ট টেমপ্লেট এবং থিমস আছে যা ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও তৈরি করা যায়। VivaVideo ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এবং টিকটকের জন্য ভিডিও বানানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

VivaVideo-তে রয়েছে সহজ কাটা এবং ট্রিম করার ফিচার, পাশাপাশি বিভিন্ন ইফেক্ট এবং মিউজিক অ্যাড করার সুযোগ। আপনি চাইলে ভিডিওর অংশগুলোকে স্প্লিট করে আলাদা আলাদা ভাবে এডিট করতে পারবেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, VivaVideo-তে আপনি ভিডিওতে বিভিন্ন থিম এবং ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবেন, যা আপনার ভিডিওকে দ্রুত প্রফেশনাল লুক দেয়।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • ভিডিও টেমপ্লেটস এবং থিমস: VivaVideo-তে অনেক ধরনের থিম এবং টেমপ্লেট দেওয়া আছে, যা ব্যবহার করে খুব দ্রুত ভালো মানের ভিডিও তৈরি করা যায়।
  • মিউজিক এবং সাউন্ড এফেক্টস: এতে বিভিন্ন মিউজিক এবং সাউন্ড এফেক্টস অ্যাড করা যায়, যা ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • ভিডিও কাট এবং ট্রিম: আপনি ভিডিওর যে কোন অংশকে কেটে বা ট্রিম করে আলাদা আলাদা অংশ এডিট করতে পারবেন।

VivaVideo-এর ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যেমন ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক থাকে এবং কিছু প্রিমিয়াম ফিচার ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে এই সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে যায় এবং আপনি আরো অনেক ফিচার আনলক করতে পারেন।

৪. PowerDirector

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

PowerDirector হল একটি পাওয়ারফুল মোবাইল ভিডিও এডিটিং টুল, যা প্রফেশনাল ইউজারদের জন্য খুব উপযোগী। এর মাল্টি-ট্র্যাক টাইমলাইন, ভিডিও স্টেবিলাইজেশন এবং 4K রেজোলিউশনের সুবিধা একে অন্যান্য মোবাইল এডিটিং সফটওয়্যার থেকে আলাদা করেছে।

PowerDirector-এ আপনি কাস্টমাইজড ইফেক্ট এবং ট্রানজিশন যোগ করতে পারবেন। এর ভিডিও স্টেবিলাইজেশন ফিচার শaky ফুটেজকে স্থির করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করতে চান, তবে PowerDirector হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • মাল্টি-ট্র্যাক টাইমলাইন: একাধিক ক্লিপ একসঙ্গে এডিট করা যায়, যা বড় এবং জটিল ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য উপযোগী।
  • ভিডিও স্টেবিলাইজেশন: শaky ভিডিও ঠিক করার জন্য এটি একটি বিশেষ ফিচার, যা খুবই কার্যকর।
  • 4K ভিডিও এক্সপোর্ট: 4K রেজোলিউশনে ভিডিও এক্সপোর্ট করার সুবিধা রয়েছে, যা প্রফেশনাল ভিডিও মেকিংয়ের জন্য প্রয়োজন।

PowerDirector-এর ফ্রি ভার্সনে কিছু ফিচার লক থাকে এবং ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক থাকে, তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে এগুলো সরিয়ে ফেলা যায়।

৫. FilmoraGo

FilmoraGo হলো একটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, যা নতুন এবং প্রফেশনাল উভয়ের জন্যই উপযুক্ত। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে প্রফেশনাল লেভেলের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। FilmoraGo-এর বিশেষ সুবিধা হলো এতে প্রি-বিল্ট টেমপ্লেট এবং ইফেক্ট রয়েছে, যা ব্যবহার করে দ্রুত এডিট করা যায়।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • প্রিসেট ইফেক্টস এবং ফিল্টারস: FilmoraGo-তে নানা ধরনের প্রিসেট ইফেক্ট এবং ফিল্টার দেওয়া আছে, যা ভিডিওতে দ্রুত যোগ করা যায়।
  • মোশন এলিমেন্টস এবং ট্রানজিশন: ভিডিওতে প্রফেশনাল ট্রানজিশন এবং মোশন গ্রাফিক্স যোগ করা যায়।
  • লাইভ প্রিভিউ: এডিটিংয়ের সময় পরিবর্তনগুলো সরাসরি দেখা যায়, যা দ্রুত এডিটিংয়ের জন্য কার্যকর।

FilmoraGo-এর ফ্রি ভার্সনে ওয়াটারমার্ক থাকে এবং কিছু ফিচার সীমিত থাকে, তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে এগুলো খুলে দেওয়া হয়।

৬. Adobe Premiere Rush

Adobe Premiere Rush হলো Adobe-এর প্রোডাক্ট, যা মোবাইল ভিডিও এডিটিং-এর জন্য খুব কার্যকর। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট, যার মাধ্যমে আপনি মোবাইলে এডিটিং শুরু করে তা কম্পিউটারে কন্টিনিউ করতে পারবেন।

প্রধান ফিচারগুলো:

  • রঙ এবং অডিও এডজাস্টমেন্ট: আপনি ভিডিওতে কালার এবং অডিও অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারবেন, যা প্রোফেশনাল ভিডিওর জন্য দরকার হয়।
  • মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট: মোবাইলে এডিটিং শুরু করে কম্পিউটারে তা কন্টিনিউ করার সুযোগ দেয়।
  • ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস: Premiere Rush-এর ইন্টারফেস খুবই সহজ এবং ব্যবহার করা অনেক মজার।

মোবাইলের কোন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সবচেয়ে জনপ্রিয়?

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের মধ্যে ইনশট, ক্যাপকাট, এবং কাইনমাস্টার বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইনশট সহজ ইন্টারফেস এবং অনেক ফিচারের জন্য পরিচিত। ক্যাপকাট ফ্রি এবং ক্রিয়েটিভ ফিচারের জন্য বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে। 

অন্যদিকে, কাইনমাস্টার প্রফেশনাল গ্রেড ভিডিও এডিটিং করার জন্য পরিচিত এবং যারা একটু বেশি এডভান্স লেভেলের এডিটিং করতে চায়, তাদের জন্য ভালো অপশন। সংক্ষেপে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই তিনটি সফটওয়্যার বেশ এগিয়ে রয়েছে।

কিভাবে মোবাইলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করা যায়?

মোবাইলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করার জন্য কিছু বিশেষ ফিচার জানা দরকার। প্রথমত, ভিডিওর রেজুলিউশন এবং ফ্রেমরেট ঠিকমতো নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ স্বরূপ, ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য 1080p ভিডিও স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়। এরপর আসে কালার গ্রেডিং, যা ভিডিওর ভিজুয়াল ইম্প্রেশনকে প্রফেশনাল করে তোলে। 

এছাড়া, সাউন্ড ইফেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক প্রফেশনাল ভিডিওর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাইনমাস্টার বা অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশের মতো সফটওয়্যারে এই সব ফিচার সহজে পাওয়া যায়, যা আপনার ভিডিওকে প্রফেশনাল লেভেলে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য মোবাইলের কি ধরনের স্পেসিফিকেশন দরকার?

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

 মোবাইল ভিডিও এডিটিং করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট দরকার হয়। প্রথমেই প্রয়োজন একটি ভালো প্রসেসর, যেমন স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ বা এর সমতুল্য। এছাড়াও, ৪ জিবি বা তার বেশি র‍্যাম হলে এডিটিংয়ের সময় ল্যাগ বা হ্যাং করার সমস্যা কম হয়। 

স্টোরেজও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভিডিও ফাইলগুলো সাধারণত বড় হয়ে থাকে, তাই কমপক্ষে ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকা ভালো। স্ক্রিন রেজুলিউশনও এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, তাই উচ্চ রেজুলিউশনের ডিসপ্লে থাকলে ভিডিওর ডিটেইলস দেখতে সুবিধা হয়।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সময় কোন ফিচারগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?

 মোবাইলে ভিডিও এডিটিংয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ফিচারগুলো হল ট্রিমিং, কাটিং, ট্রানজিশন অ্যাড করা, কালার গ্রেডিং, এবং সাউন্ড এডিটিং। ট্রিমিং বা কাটিং মূলত ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে একে প্রয়োজনীয় অংশে রূপান্তর করে। 

ট্রানজিশন অ্যাড করলে ভিডিওর বিভিন্ন অংশের মধ্যে একটি ফ্লো তৈরি হয়। কালার গ্রেডিং ভিডিওর ভিজুয়াল ইম্প্রেশনকে উন্নত করে, আর সাউন্ড এডিটিং ভিডিওর অডিওকে সঠিক লেভেলে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, বিভিন্ন ফিল্টার এবং ইফেক্ট ব্যবহার করে ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করা যায়।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং কি ফ্রি করা যায়?

অনেক মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ফ্রি হলেও, বেশিরভাগ অ্যাপ প্রিমিয়াম ফিচার বা ওয়াটারমার্ক বাদ দেওয়ার জন্য পেইড সাবস্ক্রিপশন অফার করে। উদাহরণ স্বরূপ, ইনশট এবং ক্যাপকাটের মতো অ্যাপগুলোতে ফ্রি ফিচার থাকলেও কিছু প্রিমিয়াম ইফেক্ট বা টুল ব্যবহার করতে পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়। 

আবার কাইনমাস্টার ফ্রি ভার্সনে ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক থেকে যায়, যা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনে আপগ্রেড করে সরানো সম্ভব। তবে ফ্রি অ্যাপগুলোর ফিচারও অনেক ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে থাকে।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর পারফরম্যান্স কি ডিভাইসের ওপর নির্ভর করে?

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৬টি সফটওয়্যার

হ্যাঁ, মোবাইলের পারফরম্যান্সের ওপর এডিটিং অ্যাপের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে। যদি আপনার ডিভাইসের প্রসেসর বা র‍্যাম কম হয়, তাহলে বড় ভিডিও ফাইল বা হাই রেজুলিউশনের ভিডিও এডিটিং করতে সমস্যা হতে পারে। যেমন, 4K ভিডিও এডিট করার সময় লো র‍্যামের মোবাইলে ল্যাগ হওয়া স্বাভাবিক। 

এছাড়াও, স্টোরেজ কম থাকলে ভিডিও সেভ করতে সমস্যা হতে পারে। তাই একটি ভালো ডিভাইস, বিশেষ করে যার প্রসেসর এবং র‍্যাম ভালো, মোবাইলে এডিটিং অ্যাপের পারফরম্যান্স বাড়ায়।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করে কি ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব?

 অবশ্যই। মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপের সাহায্যে সহজেই ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট তৈরি করা যায়। ইনশট বা ক্যাপকাটের মতো অ্যাপগুলো ইউটিউব ফ্রেন্ডলি ফরম্যাটে ভিডিও এক্সপোর্ট করার অপশন দেয়। 

এছাড়া, এই অ্যাপগুলোতে ভিডিও কাট, মিউজিক অ্যাড, টেক্সট যোগ করা, এমনকি থাম্বনেইল তৈরি করার ফিচারও আছে, যা ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি করার জন্য খুবই দরকারি। সংক্ষেপে, আপনি মোবাইল দিয়েই ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, তাতে কোনো কমতি থাকে না।

উপসংহার

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার জন্য বেশ কিছু ভালো সফটওয়্যার রয়েছে, যার মধ্যে ইনশট, ক্যাপকাট, এবং কাইনমাস্টার বেশ জনপ্রিয়। আপনার ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি ফ্রি অথবা পেইড ভার্সনের অ্যাপ বেছে নিতে পারেন। 

প্রতিটি অ্যাপের কিছু বিশেষ ফিচার রয়েছে, যা আপনার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে এই অ্যাপগুলো ট্রাই করতে পারেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *